নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জনসাধারণের চলাচলের জন্য জেব্রা ক্রসিং, সড়কে গতিরোধক (স্পীড ব্রেকার) নির্মান ও রাতের আঁধারের জন্য ল্যামপোষ্ট স্থাপন জরুরী বলে দাবি করেছেন ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ব্রীজ ও রহমতপুর-মীরগঞ্জ আঞ্চলিক এ সড়কটির সংযোগ স্থান ব্যবহারকারীরা এবং স্থানীয় ভূক্তভোগী জনসাধারন। রহমতপুর ষ্টেশন নামক সড়কের গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গা দুটিতে গতিরোধক না থাকায় রহমতপুর মীরগঞ্জ সংযোগ সড়ক থেকে মহাসড়কে মোটর সাইকেল কিংবা গাড়ি চালিয়ে পৌঁছতে ঢাকা- বরিশাল রুটের দ্রুতগতি সম্পন্ন গাড়ির নিচে চাপা পরে গত ৬ মাসে একাধিক মৃত্যুসহ বহুমানুষ গুরুতর আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বরিশাল সড়ক ও জনপথের আওতাধীন এই সড়কে রহমতপুর সাব- রেজিস্ট্রার অফিস থেকে বরিশাল বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত সড়কে গুরুত্বপূর্ন হাট বাজার ও স্কুল থাকলেও নেই কোন স্পীড ব্রেকার। আঞ্চলিক এই মহাসড়কে গুরুত্বপূর্ন স্থানে স্পীড ব্রেকার না থাকাতে চতুর্মাত্রিক রাস্তায় ৩০০ গজের মধ্যে দুর্ঘটনা বেড়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পথচারীরা। জানা গেছে, বাবুগঞ্জ থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ষ্টেশনে উঠতে গিয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারী গাড়ি চাপা পরে মোটর সাইকেল আরোহী উমর আলী কাজী নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় মোটর সাইকেল চালক মাহবুব আলম গুরুতর আহত হন। এছাড়াও গত ৮ মে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের সালাউদ্দিন গাজী নামের এক যুবক একই স্হানে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে এবং একাধিক যাত্রী হতাহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরের আগে শিক্ষক আইউব আলী বাড়ি থেকে সড়ক পথে রহমতপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে রহমতপুর ষ্টেশন মোড়ে দ্রুতগামীর একটি কাভার্ড ভ্যান তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনিত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলের দিকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান। এসব দুর্ঘটনা কমাতে সাধারণ পথচারী, গাড়ি চালকসহ স্থানীয়রা উল্লিখিত স্থানে দুটি গতিরোধক ও ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন। রহমতপুর ব্রিজ ষ্টেশন বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ ফরিদ আহমেদ বলেন, ঢাকা বরিশাল হাইওয়ে রহমতপুর সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ যায়গা গুলোকে ‘অধিকতর ঝুকিপূর্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হিনতার কারণে ইতিবাচক কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
তিনি বলেন ঈদ,পূজা সহ বিভিন্ন উৎসবে সড়কের পরিবহন চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায় এ সময় এই স্থানটিও যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এখানে কোন ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক ব্যবস্থা নাই বললেই চলে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং অবৈধ স্ট্যান্ড দৃশ্যমান। এখানে দুর্ঘটনা ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এটি রোধে এ স্থানে অতিদ্রুত গতিরোধক ও ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা দাবী তার। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক সুত্রে জানা গেছে, হাইওয়ে সড়কে স্পীড ব্রেকার নির্মান করা হয়না। মহা সড়কের যেখানে যা নির্মান করা হয়েছে তা স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে করেছে।
Leave a Reply